এবিএনএ : ‘একে দেশ অতি দরিদ্র, তাতে বিদ্যা একেবারে নেই বললেই হয়’ – উক্তিটি যথার্থ ভাবেই প্রয়োগ করা যায় আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে গরিব দেশ সিয়েরা লিয়নের ক্ষেত্রে। সার্বিক শিক্ষার হাল এতটাই খারাপ, যে আলাদা করে নারীশিক্ষার প্রসঙ্গ কেউ তোলেও না। কিন্তু, এই নারীশিক্ষার প্রসঙ্গই ফের আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামে নিয়ে এসেছে একদা ব্লাক ডায়মন্ডের জন্য পরিচিত এই দেশকে।
দেশটিতে নারীশিক্ষার হার পড়তে পড়তে বর্তমানে ৯.৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ধরা পড়েছে শিক্ষার জগতে টিকে থাকতে কোন পর্যায়ে নামতে হচ্ছে সিয়েরা লিয়নের মেয়েদের। পড়াশোনার মাধ্যমে দারিদ্র্যের অন্ধকারকে জয় করে আলোর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ইচ্ছাটুকুই সম্বল। কিন্তু, তা করতে গিয়ে দেহব্যবসায় নামতে হচ্ছে নাবালিকা, কিশোরীদের। এমনই এক কিশোরীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল। যেখানে শিউরে ওঠার মতো দাবি করেছে সে।
‘রাত প্রতি ৩ ইউরো করে পাই। কোনো রাত ভালো গেলে ৯ থেকে ১০ ইউরো মেলে।’ বলছিল ১৪ বছরের কিশোরীটি। পড়াশোনার খরচা তোলার জন্য যাকে নিজের শরীর বিক্রি করতে হয়। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, একা এই কিশোরী নয়, এ রকম আরও বহু নাবালিকা-কিশোরীদের পড়াশোনার সম্বল হলো দেহব্যবসা। অনেকে আবার এর থেকে বেরতেও পারে না। বহুক্ষেত্রেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে তারা। সে ক্ষেত্রে কৈশোর জীবনে সহ্য করতে হয় গর্ভপাতের যন্ত্রণা। এই জীবনই নিত্য হয়ে উঠেছে কিশোরীদের।